Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
হাতে মাত্র আর কটা দিন তারপরে ভোটের নির্ঘণ্টও ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। এরই মধ্যে নির্বাচন কমিশনের তরফ থেকে রাজ্যের প্রত্যেকটি জেলায় শুরু হয়ে গিয়েছে প্রশিক্ষণ। ভোট কর্মী থেকে শুরু করে আধিকারিকদের চলছে দফায় দফায় বৈঠক এবং প্রশিক্ষণ। বৃহস্পতিবার ফের জরুরি বৈঠকে বসবেন উপ মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুদীপ জৈন। বুধবার সন্ধ্যায় তিনি কলকাতায় এসে পৌঁছবেন। ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের আগে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখতেই তিনি জরুরি বৈঠক করতে আসছেন। অন্যদিকে ভোট যত এগিয়ে আসছে ততই একের পর এক দেখা দিচ্ছে নতুন করে সমস্যা। যেহেতু এবার সবকটি বুথ থাকছে এক তলাতেই তাই বুথের সংখ্যা বাড়ছে অনেক। পাশাপাশি করোনা পরিস্থিতিতে ভোট করানোর জন্য নির্বাচন কমিশনকে নিতে হচ্ছে বেশ কিছু পদক্ষেপ। আসল বুথের সঙ্গে থাকছে এবার অক্সিলারি বুথ। যার ফলে ভোট কর্মীর সংখ্যাও বেড়েছে এবার অনেক। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে নতুন সমস্যা। এরই মধ্যে বেশ কিছু ভোট কর্মী নির্বাচন কমিশনের কাছে চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন তাঁরা ভোটে অংশগ্রহণ করতে পারবেন না। ভোট কর্মীর কাজ তাঁরা করতে পারবেন না। নির্বাচন কমিশন অবশ্য পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দিয়েছে নির্বাচনকে সুষ্ঠু অবাধ ও শান্তিপূর্ণ করার জন্য সংবিধানের সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া আছে তাদের হাতে। তাই সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে সাসপেন্ড করে দেওয়ার ক্ষমতাও কমিশনের আছে। পাশাপাশি কমিশন এটাও জানিয়েছে, যদি সঠিকভাবে কোন ভোট কর্মী কারণ দর্শাতে পারে তাহলে সে ক্ষেত্রে তাঁর আবেদন বিবেচনা করে দেখবে কমিশন। একেই এই বছর লক্ষাধিক ভোট কর্মী একদিকে যেমন লাগবে ঠিক তেমনি প্রত্যেক বুথে ৫ জন করে ভোট কর্মী লাগবে এবং কুড়ি শতাংশ ভোট কর্মী রিজার্ভ রাখতে হবে। এমতবস্তায় ভোট কর্মীদের মাথায় পড়েছে হাত, এরই মধ্যে অনেক উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারীদের কাছে ভোটের কাজের প্রশিক্ষণ নেওয়ার চিঠি পৌঁছে গিয়েছে আর তা নিয়েও তাঁরা বারবার তদবির করেছেন নির্বাচন কমিশনের কাছে। তবে নির্বাচন কমিশন পরিস্কার ভাষাতেই জানিয়ে দিয়েছে গণতন্ত্রের সবথেকে বড় উৎসব নির্বাচন। আর তাকে সুস্থ স্বাভাবিক ও শান্তিপূর্ণভাবে করাটাই তাদের একমাত্র লক্ষ্য। সেক্ষেত্রে সঠিক কারণ দর্শাতে না পারলে নির্বাচন কমিশন সংশ্লিষ্ট ভোট কর্মীকে সাসপেন্ড করার পথেও হাঁটতে বাধ্য হবে।