Written By কলকাতা টিভি ওয়েব ডেস্ক
মঙ্গলবার তৃতীয় দফার ভোটে রাজ্যের ৩টি জেলার ৩১ আসনে ভোট নেওয়া হয়। আর এই ভোটকে কেন্দ্র বেশ কয়েকটি জায়গায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর পাওয়া যায়। দিনভর সেই সব খবরের মধ্যে শিরোনামে ছিল আরামবাগের তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল খাঁ। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, কীভাবে আরামবাগের আরান্ডিতে তাঁকে বাঁশ-লাঠি নিয়ে মারতে ছুটে আসে গ্রামবাসীরা। মাথায় বাঁশ দিয়ে মারা হয়, গাড়ি লক্ষ্য করে আধলা ইট ছোড়া হয়। প্রাণ বাঁচাতে খেতের ওপর দিয়ে দৌড়ে পালান তিনি। তাঁকে বাঁচাতে দেহরক্ষী আগ্নেয়াস্ত্র বের করতে বাধ্য হন। অথচ সেই সব ঘটনার কোনও উল্লেখই নেই কমিশনে জমা পড়া পুলিশ সুপারের রিপোর্টে। কমিশনকে দেওয়া রিপোর্টে তিনি জানিয়েছেন, তৃণমূল-বিজেপি কর্মীদের মধ্যে হাতহাতি হওয়ার সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন সুজাতা। ছোটখাটো জখমের খবর মিলেছে। এছাড়া নির্বিঘ্নেই ভোট পর্ব মিটেছে বলে দাবি করেন পুলিশ সুপার। এমনকী পুলিশ সুপার আরও দাবি করে জানান, সুজাতা নিজেই বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়ান। তাঁদের উত্তেজিত করেন। তখনই মারমুখী হয়ে ওঠে জনতা। কিন্তু দিনভর টিভির পর্দায় যা দেখা গেল, তার সঙ্গে পুলিশ সুপারের পাঠানো রিপোর্টতো মিলছে না!
অপরদিকে, তৃণমূল প্রার্থী সুজাতা মণ্ডলকে মারধরের ঘটনায় এরই মধ্যে পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে। এই ঘটনার প্রেক্ষিতে রাজ্যের বিশেষ পুলিশ পর্যবেক্ষক বিবেক দুবেকে ফোন করেন রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। সুজাতাকে আক্রমণের বিষয়ে তাঁর কাছে অভিযোগ করেন তিনি। তারপরই সুজাতা কাণ্ডে রিপোর্ট তলব করে কমিশন। কমিশনের রিপোর্ট চাওয়ার পর গ্রামে গিয়ে তদন্ত করে পুলিশ সুপার যে রিপোর্ট কমিশনে জমা দেন, তার সঙ্গে আমাদের কাছে আসা ভিডিও ফুটেজের কোনও মিল নেই!