কলকাতা: স্কুল সার্ভিস কমিশনের (School Service Commission) গ্রুপ ডি (Group-D) কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ২৮২০ টি ওএমআর শিট (OMR Sheet) বিকৃত করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার আদালতে জানাল এসএসসি (SSC)। বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় জানান, আগামিকাল শুক্রবারের মধ্যেই ওই ২৮২০ জনের চাকরি বাতিল করা হবে। আদালতের নির্দেশ, কমিশনকে ওই ২৮২০ জনের বিস্তারিত তালিকা তৈরি করতে হবে। শুক্রবার বেলা ১২ টার মধ্যে কমিশনকে হলফনামা জমা দিতে হবে। তার পাঁচ মিনিটের মধ্যেই ওই তালিকা আপলোড করার এবং সুপারিশপত্র প্রত্যাহার করার নির্দেশ দেওয়া হবে বলে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় জানিয়েছেন। আদালত বলেছে, তার পাঁচ মিনিট পরই মধ্যশিক্ষা পর্ষদ নিয়োগপত্র প্রত্যাহার করবে।
বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন বলেন, আর কোনও সময় দেওয়া যাবে না। অবিলম্বে পদক্ষেপ করতে হবে। মনে রাখবেন, আমি বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসুর মতো দয়ার সাগর নই। নিয়োগ দুর্নীতিতে কার অদৃশ্য হাত রয়েছে, দেখতে চায় আদালত। বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় এদিন গ্রুপ ডির নিয়োগ সংক্রান্ত রিপোর্ট না পাওয়ায় হাওড়ার জেলা স্কুল পরিদর্শককে তলব করেন। সরকারি আইনজীবী জানান, পরিদর্শক হাওড়ায় মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে রয়েছেন। বিচারপতি জানতে চান, স্কুল পরিদর্শক মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে কী করছেন। পরে অবশ্য আদালতে হাজিরা দেন হাওড়ার ডি আই। আদালতে কমিশন জানায়, গ্রুপ ডি-তে নিয়োগ হয়েছে ৪৪৮৭ জনের। ওএমআর আপলোড করা হয়েছে ৪৪৬৫ জনের। শূন্য পদ ছিল ৩৯৫৬৩ । এসএসসি সুপারিশপত্র দিয়েছিল ৩৮৮০ জনকে। প্যানেল ভুক্ত ছিল ৩৫০২ জন। অপেক্ষা তালিকায় নাম ছিল ৬৯৮৮ জনের। ২৮২০ টি বিকৃত ওএমআর-এর মধ্যে ১৯১১ জনের সুপারিশপত্র রয়েছে।
আরও পড়ুন:Mohanogorer Mohamela: আগামিকাল থেকে শুরু হচ্ছে ‘মহানগরের মহামেলা’, আমন্ত্রণ সকলকে
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ মেনে স্কুল সার্ভিস কমিশন নবম ও দশমের ৯৫২ টি ওএমআর শিট (OMR Sheet) যাচাই করে দেখা শুরু করেছে। এসএসসি (SSC) দেখেছে, ২০১৯ সালে একটি মামলার পরিপ্রেক্ষিতে ৯৫২ জনের মধ্যে ১৫ জনের এক নম্বর করে বেড়েছিল। তালিকা থেকে ওই ১৫ জনের নাম বাদ যায়। পরে সেই সংখ্যা দাঁড়ায় ৯৩৭। তাঁদের মধ্যে থেকে ৮০৩ জনের ওএমআর শিটে (OMR Sheet) নম্বর বাড়ানো হয়েছিল। বাকি ১৩৪ জন সেই সময় চাকরিতে যোগ দেননি বলে এসএসসি (SSC) জানিয়েছে। তাই ওই ৮০৩ জনে চাকরি বাতিলের প্রক্রিয়া শুরু হচ্ছে আগামী সপ্তাহ থেকে। কমিশনের চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার জানান, ইতিমধ্যে আদালতকে তা জানিয়েও দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিআই, পর্ষদ এবং যে স্কুলে ওই শিক্ষক বা শিক্ষিকা চাকরি করতেন, সেই স্কুলেও চাকরি বাতিলের নির্দেশ পাঠানো হবে।