ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগের চিকিৎসায় ব্যবহৃত ইঞ্জেকশন অবৈধভাবে উৎপাদন করার অপরাধে দুই ডাক্তার-সহ সাত জনকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশের দুর্নীতি দমন শাখা।
পুলিশ জানিয়েছে, দক্ষিণ-পূর্ব দিল্লির নিজামুদ্দিনে ডাক্তার আলতামাস হুসেনের বাড়ি থেকে জাল লিপোসোমাল আম্ফোটেরিকিন-বি ইঞ্জেকশনের ৩ হাজার ২২ টি শিশি উদ্ধার করা হয়েছে। যা এমফোটেরিসিন-বি মিউকর মাইকোসিস বা ব্ল্যাক ফাঙ্গাস চিকিৎসার জন্য ব্যবহৃত হয়। এই রোগ মূলত নাক, চোখ, সাইনাস এবং এমনকি মস্তিষ্ককে মারাত্মক ক্ষতি করে। এটি ডায়াবেটিক বা এইচআইভি তথা এইডস আক্রান্ত ব্যক্তিদের জন্য প্রাণঘাতী হতে পারে।
গত মাসে কোভিড রোগী এবং কোভিড থেকে সম্প্রতি সেরে ওঠা রোগীদের মধ্যে উদ্বেগজনক হারে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস ধরা পড়তে শুরু করে। পরিস্থিতি মোকাবিলায় কেন্দ্রীয় সরকার পাঁচটি সংস্থাকে লাইপোসামাল অ্যামফোটেরিকিন বি ইঞ্জেকশন সরবরাহের জন্য লাইসেন্স দেয়। ফাঙ্গাসের ঘটনা গত কয়েক সপ্তাহের তুলনায় দেড় শতাংশের বেশি বেড়েছে। এরকম পরিস্থিতিতে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস রোগ নিরাময়ে ব্যবহৃত ওষুধের জাল কারবারিদের কোনও ভাবেই বরদাস্ত করা হবে না বলে জানিয়েছে কেন্দ্র।