Written By সারমিন বেগম
বায়ু দূষণের জেরে বাড়ছে বায়ু বাহিত রোগের সংখ্যা। এর জেরে সবথেকে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুরা। ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গানাইজেশনের মতে ভারতের ৮৫ শতাংশ শিশু বায়ু দূষণের জেরে কাবু। অল্প বয়স থেকেই শুরু হচ্ছে শ্বাসকষ্টের মত রোগ। যার জেরে বয়স বাড়ার সঙ্গেসঙ্গে তা চরম আকার ধারণ করছে।
তাপমাত্রা কমার সঙ্গে বাতাসে বাড়ে দূষিত বায়ুর পরিমাণ। অনেকেই মাস্ক পরে দূষণ মোকাবিলার চেষ্টা করেন। কিন্তু শিশুদের ক্ষেত্রে বায়ু দূষণের সঙ্গে লড়াই করাটা বেশ কঠিন বলে মনে করছেন চিকিৎসকরা। সারাদিন মাস্ক পরে থাকলে বাচ্চাদের মধ্যে বিচ্ছিন্নতাবোধ তৈরী হয়। তাই মাস্ক পড়াকে বায়ু দূষণের সমাধান বলে মানতে নারাজ অনেকেই। শিশুদের ৩ থেকে ৮ বছর বয়স পর্যন্ত শ্বাসনালী পরিণত হয়. তাই এই বয়সের শিশুদের বায়ু দূষণের ফলে শ্বাসনালীর স্থায়ী ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এছাড়াও পালমোনলজিস্টরা জানাচ্ছেন বর্তমানে অ্যাজমার সমস্যা ছাড়াও শিশুদের ব্রঙ্কোস্কপি করলে শ্বাসনালিতে সংক্রমণের চিহ্ন ধরা পড়ছে। যার ফলে ভবিষ্যতে অ্যাজমা সহ ক্রনিক অবস্ট্রাকটিভ পালমোনারি ডিজিজ বা সিওপিডিতে আক্রান্ত হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। এ ক্ষেত্রে রোগীর মৃত্যুও হতে পারে বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
ডিসেম্বরের শুরু থেকেই সকালের দিকে বায়ু দূষণের মাত্রা ৪০০ থেকে ৫০০-র মধ্যে। আবার চিকিৎসকদের মতে অফিস সময়ের ট্রাফিকে শিশুদের বাইরে না যেতে দেওয়াই শ্রেয়। এই অবস্থায় পৃথিবীকে শিশুদের বাসযোগ্য করার জন্য ও বড়দের আরো সচেতনতা এবং সরকারকে আরও কড়া পদক্ষেপ নিতে হবে বলে মনে করছেন পরিবেশবিদরা।