Written By উজ্জ্বয়িনী রায়
বড্ড গরম। ভ্যাপসা আবহাওয়া। ইট-কাঠ-পাথরের শহর। দশটা পাঁচটা ডিউটি। প্যাচপ্যাচে ঘামে ভেজা শরীর। সব মিলিয়ে হাঁসফাঁস অবস্থা। বেড়াতে যেতে ইচ্ছে করছে। চলুন ঘুরে আসা যাক ইচ্ছে গাঁও থেকে। সেখানে ঠাণ্ডা পরিবেশ শীতল করে দেবে আপনার মনকেও। শিলিগুড়ির গা ঘেঁষে কালিম্পং মহকুমায় রয়েছে এই ইচ্ছে গাঁও। প্রকৃতি যেন নিজের সমস্ত আদর ভালোবাসায় মুড়ে রেখে দিয়েছে এই গ্রামকে। আর গ্রামে ঢুকলেই সেই আদর আষ্টেপৃষ্টে জড়িয়ে ধরবে আপনাকেও।
গ্রামের নামের পিছনে রয়েছে একটি কাহিনি। ব্রিটিশ শাসনের সময় বনবিভাগের কয়েকজন কর্মী জঙ্গলাকীরন এই পথ দিয়ে যাচ্ছিলেন। রাতে থাকতে হবে। তাই ইচ্ছেমত খাটিয়ে ফেললেন তাঁবু। আর তারপরেই নাকি এই গ্রামের নাম হয়ে যায় ইচ্ছে গাঁও। দু-তিন দিনের জন্য বেড়াতে ইচ্ছে করলে, ইচ্ছে গাঁও কিন্তু ভালো অপশন। থাকা খাওয়া নিয়ে এক একজনের দৈনিক খরচ ৭০০ থেকে ১০০০ টাকা। হোটেল রিসোর্ট অবশ্য নেই। ভরসা একমাত্র হোম স্টে। কচিকাচাদের জন্য রয়েছে মজাদার ব্যবস্থাও। রোমান্টিক পরিবেশ রয়েছে হানিমুন কাপলদের জন্যও। আর অ্যাডভেঞ্চারপ্রেমীদের তো এখানে পৌষমাস। এজ হ্যাঁ, হোম স্টে-র গোটা ব্যবস্থাই কিন্তু ইকোট্যুরিজমের আওতায়। মানে ভেজাল কিনবা সিনথেটিক কিছুই পাবেন না এখানে। খাবার মিলবে লেপচা আদিবাসীদের নিজের হাতে রান্না করা। তা সে ব্রেড টোস্ট হোক কিংবা থুকপা।
গ্রামে বাস করেন হাতে গোনা ৩০০ মানুষ। তাঁদেরই অতিথি হবেন আপনি। কখনও বৃষ্টি। কখনও মেঘ। কখনও রোদ। সঙ্গে উপরি পাওনা পাহাড়, জঙ্গল আর বুনো টাটকা বাতাসের গন্ধ। আগে গ্রামে ঢোকার কোনও রাস্তা ছিল না। স্থানীয়রাই তৈরি করে নিয়েছেন একটি রাস্তা। এখান থেকে দেখা যায় কাঞ্চজঙ্ঘার অপূর্ব সৌন্দর্য। তাই ইচ্ছে হলেই ঘুরে যান ইছে গাও-এ। কম খরচে ছুতি কাটাতে এমন ডেস্টিনেশন আর পাবেন না।
কীভাবে যাবেন- শিলিগুড়ি স্টেশন কিংবা বাগডোগরা বিমান বন্দরে নেমে ইচ্ছে গাঁও যাওয়ার গাড়ি পেয়ে যাবেন। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশনে নেমে গাড়ির খোঁজ করলেও হবে। তবে হোম স্টে-র জন্য আগেভাগে বুকিং করতে হবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাদের তরফেই শিলিগুড়ি থেকে ইচ্ছে গাঁও যাতায়াতের গাড়ি দেওয়া হয়।
6th March, 2021 11:13 pm
6th March, 2021 10:38 pm
6th March, 2021 07:54 pm
6th March, 2021 07:25 pm