Written By শাজাহান আলি
হাতির তাণ্ডবে আতঙ্কিত ,নাজেহাল, বীতশ্রদ্ধ গ্রামবাসী। তা সত্ত্বেও গ্রামের পাশে বিদ্যুৎপৃষ্ট হয়ে দুই হাতির মৃত্যুর পর তাদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশাল পুজো করে তিন গ্রামের বাসিন্দাদের বসিয়ে খাওয়ানোর ব্যবস্থা করা হল। এই ঘটনা ঘটেছে পশ্চিম মেদিনীপুরের সদর ব্লকের অন্তর্গত নেপুরা গ্রামে। ১২ জানুয়ারি নেপুরা গ্রামের পাশে আলুর জমিতে আলু খেতে এসে ১১ হাজার ভোল্টের বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয়েছিল দুই পূর্ণ বয়স্ক দাঁতাল হাতির। সেই হাতি দুটির আত্মার শান্তি কামনা ও এলাকায় বুনো হাতির তাণ্ডব কমানোর প্রার্থনা নিয়ে পাশাপাশি গ্রামের বাসিন্দারা আয়োজন করল বিশাল উৎসবের। দুজন ব্রাম্হন ডেকে হাতি মৃত্যুর স্থলে তিনটি মাটির হাতির মূর্তি রেখে বেশ কয়েক ঘন্টা ধরে চলল হাতি পুজো। পাশের নেপুরা, গোপগড়, শালডাঙ্গা গ্রামের মানুষের সমবেত উদ্যোগে এই পুজো আয়োজন করা হয়েছিল সোমবার। এর পর গ্রামবাসীদের বসে খাওয়ার ব্যবস্থাও হয়। প্রায় ৪ হাজার মানুষ এদিন বসে খেয়েছেন সেখানে। গত কয়েকমাস ধরে বুনো হাতির একটি বিশাল পালকে ঘোরাফেরা করতে দেখছেন মেদিনীপুর সদর ব্লক এলাকার বাসিন্দারা৷ প্রায়শই বিভিন্ন গ্রাম ও ফসলের জমিতে হামলা চালায় সেগুলি ৷ যে কারণে গ্রামবাসিরা তো বটেই বনদফতর পর্যন্ত নাজেহাল৷ তবুও আতঙ্কের কারণ সেই হাতিকেই দেবতা জ্ঞানে দিনভর পুজো করে শান্তি কামনা করলেন আতঙ্কিত ও ক্ষতিগ্রস্ত গ্রামবাসীরাই৷