Written By স্বরূপ গঙ্গোপাধ্যায়
বালুচরিতে নবাবী ঐতিহ্য। বালুচরি শাড়ির নকশাতে এবার সেই পুরোনো ঐতিহ্য ফিরে এসেছে। ফিরে এসেছে বিষ্ণুপুরের বালুচরি পাড়ায়। এক সময়ে নবাব বেগমদের সেই পছন্দের বালুচরি এবার নতুন রূপে ফুটিয়ে তুলছেন বিষ্ণুপুরের এক বালুচরি শিল্পী। পুজোতে ৫০ হাজার টাকা দামের বালুচরি শাড়ির সাফল্যের পর এবার ১ লক্ষ টাকা দামের নবাবি বালুচরি পাঠানো হচ্ছে বিদেশে। ৪৭ দিনের অক্লান্ত পরিশ্রম ও ৫টি রঙের ব্যবহার করে অভিনব অলঙ্কারে ফুটে উঠেছে এই শাড়ি। তন্তুজের হাত ধরে সামনের সপ্তাহে বিদেশের বাজারে রওনা দিচ্ছে বিষ্ণুপুরের ১ লাখি বালুচরি।
নানান হস্তশিল্পে সমৃদ্ধ মল্লরাজাদের প্রাচীন শহর বিষ্ণুপুর। সেখানকার শিল্পের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন শিল্প বালুচরী। বিষ্ণুপুর শহরের গলিতে ভেসে আসে তাঁত যন্ত্রের শব্দ। শিল্পীর হাতের ছোঁয়ায় ফুটে উঠছে নানান ডিজাইন সমৃদ্ধ বালুচরি শাড়ি। মুর্শিদাবাদের বালুচর গ্রাম থেকে এসেছে বিষ্ণুপুরে বালুচরি শিল্প। সেই সময় নবাবি ডিজাইন সাথে বিষ্ণুপুর বালুচরি শাড়িতে ফুটে উঠেছিল মল্ল রাজাদের মন্দিরের কারুকার্য। পরবর্তীকালে শিল্পীদের সৃজনশীলতায় বিষ্ণুপুরের বালুচরি শাড়িতে এসেছে অভিনবত্ব। রূপশালী, তিনকন্যা, কটকি, রামায়ন, শকুন্তলা, আদিবাসী, ঝাগড়া ও ঝরির অলংকারের রূপে বালুচরি শাড়ির উৎপাদন শুরু হয়। শিল্পীদের প্রচেষ্টায় বালুচরি শাড়িতে ফুটে উঠেছে এমন নানান কাহিনী। শিল্পীদের কথায় সেই সব শাড়ি মাত করছে বাজার। শিল্পীদের কথায় এক সময়ে এখানকার বালুচরিতে ছিল বাদশাহি রূপ। সময়ের তালে তালে সেই ডিজাইন থেকে বেরিয়ে স্বল্প সময়ের বালুচরি শাড়ি তৈরিতেই মন দেন শিল্পীরা। দীর্ঘদিন পর ফের বালুচরিতে বাদশা বেগমদের পছন্দের ডিজাইন ফুটে উঠেছে এক শিল্পীর প্রচেষ্টায়। নতুন রূপে সেই প্রাচীন ঐতিহ্য ফিরে এসেছে ঐতিহাসিক মল্ল নগরে। অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে বাংলার তন্তুজ।
22nd April, 2021 09:51 pm
22nd April, 2021 07:31 pm
22nd April, 2021 06:50 pm
22nd April, 2021 05:49 pm