Written By স্বরূপ গঙ্গোপাধ্যায়
পাহাড়ের ফল ফলতে চলেছে এবার রুক্ষ মাটিতে। প্রায় সব চাষেই সফল ও সুনাম কুড়িয়েছে বাঁকুড়া জেলার কৃষকরা। আঙুর, আম, কুল, বেদানার পর এবার আপেল চাষেও নজির গড়তে চলেছে বাঁকুড়া। বাঁকুড়ার লালমাটিতে এবার ফলবে আপেল। আর তা নিয়ে আশায় বুক বেঁধেছেন কৃষক থেকে জেলা প্রশাসন। বাঁকুড়ার ওন্দা ব্লকের নাকাইজুড়ি গ্রামপঞ্চায়েতের অন্তর্গত জঙ্গলের মাঝে আদিবাসী অধ্যুষিত গ্রাম হনুমানহিড়। এই গ্রামের আদিবাসী মানুষজন জঙ্গল লাগোয়া জমিতে আলু, ধান, সরষে ও নানান প্রকারের সব্জি চাষ করেন। প্রায় এক বছর আগে এই গ্রামেই ১০০দিনের প্রকল্পে আপেল চাষ করার পরিকল্পনা নেওয়া হয়। প্রথমে এই চাষে কেউ আগ্রহ প্রকাশ করেননি পরে এই গ্রামের মানুষ নতুন চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেন। এগিয়ে আসেন গ্রামের কৃষকরা। গতানুগতিক চাষে তেমন ভাবে লাভ না হওয়াই বিকল্প চাষে উৎসাহী হয়ে তাঁরা আপেল চাষ শুরু করেন। ভারতীয় কৃষি প্রণালী অনুসন্ধান সংস্থান ও বিজ্ঞানীদের সহায়তায় ১০০ দিনের প্রকল্প ও সরকারি বিভিন্ন দফতরের উদ্যোগে এই গ্রামেরই প্রায় ১০ বিঘা জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে আপেল চাষের পরিকল্পনা নেওয়া হয়। দেরাদুন থেকে নিয়ে আসা হয় আন্না প্রজাতির আপেল গাছের চারা। গত বছর ফেব্রুয়ারি মাসে লাগানো হয় প্রায় ৪০০ র বেশি চারা গাছ। গ্রামের মানুষ সন্তান স্নেহে গাছের পরিচর্চা শুরু করেন। মাঝে মাঝে রক্ষণাবেক্ষণ ঠিকঠাক হচ্ছে কিনা খতিয়ে দেখতে আসেন প্রশাসনের আধিকারিক ও বিশেষজ্ঞরা। এখন সেই গাছেই ধরেছে ফুল, ফল ধরার প্রক্রিয়াও শুরু হয়েছে। আপেল গাছে ফুল দেখে খুশি কৃষকরা।