Written By ঋতিকা দাস
স্কুল জীবন, অফিসের চাপ, কাজের চাপ বা সাংসারিক নিত্য ঝামেলা, প্রতিদিনের এই সব কিছু থেকে ক্ষনিকের জন্যে হলেও রেহাই পেতে বেড়াতে যাওয়ার ইচ্ছা কার না হয়। তাই সপরিবারে সেই ইচ্ছাকে বাস্তবায়িত করার সব সুযোগ সুবিধা নিয়ে হাজির হয়েছে টিটিএফ সামার প্যাকেজ ট্যুরিজম। ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত, ৩ দিনের এই মেলায় উপস্থিত হয়েছে দেশ থেকে শুরু করে বিদেশ, স্বল্প পরিসর বা দীর্ঘ, সব রকমের প্যাকেজ নিয়ে প্রায় ৫০টিরও বেশি পর্যটন সংস্থা। রয়েছে হিমাচল প্রদেশ, কাশ্মীর, গুজরাট, সিমলা, সিকিম ও উত্তর-পূর্বাঞ্চল। পিছিয়ে নেই পশ্চিমবঙ্গও। ডুয়ার্স, লাভা থেকেও এসেছে পর্যটন সংস্থা। এদের পাশপাশি জায়গা করে নিয়েছে থাইল্যান্ড, এবং ইউরোপিয়ান ও আমেরিকান মুলুক। রংবেরংয়ের ব্রোশিওরে নিজেদের সংস্থার নাম, হোটেলের নাম, ঘর ভাড়া ও পরিষেবা ছেপে মেলায় আসা দর্শকদের বিলোচ্ছেন পর্যটন সংস্থার কর্মীরা। তবে এত জাঁক জমক পূর্ণ মেলার স্টল হওয়া সত্বেও চিন্তার ছাপ দেখা গেল কাশ্মীরি পর্যটন সংস্থার মধ্যে। সম্প্রতি ঘটে যাওয়া পুলওয়ামার জঙ্গি হামলা থাবা বসিয়েছে তাঁদের পর্যটন ব্যবসায়। এই মুহূর্তে তাঁরা কিছুটা যেন ক্ষতির সম্মুখীন, জানালেন শ্রীনগরের ২টি হোটেলের ভারপ্রাপ্ত কর্মচারী মহম্মদ হামজা। পুলওয়ামা কাণ্ডের পর কলকাতার বাঙালি পর্যটক কিছুটা কাশ্মীর বিমুখ, বলে জানালেন তিনি। তবে নিজেদের চেষ্টায় তাঁরা কোনো ত্রুটি রাখছেন না। অত্যন্ত ধৈর্য্যের সঙ্গে একে একে সকলকে দিচ্ছেন নিজেদের হোটেল এবং পরিষেবার বিবরণ। কিন্তু দেখবার বিষয় এটাই, নিরাপত্তার অনিশ্চয়তা থাকা সত্বেও মানুষের সমাগমে কমতি নেই কাশ্মীরের স্টলে। হোটেলের বুকিং না করলেও, খোঁজ খবর নিয়ে গেছেন অনেকেই। ভূস্বর্গ যে কলকাতার মানুষের কাছে কতটা আকর্ষণীয়, তারই প্রমাণ এটা। মানুষ খোঁজ নিচ্ছেন হিমাচল প্রদেশের টুরিস্ট সংস্থাতেও। পকেটের জোর থাকুক বা না থাকুক, অতি উৎসাহে অনেকেই হোটেল ও পরিষেবার কথা জানতে চাইছেন বিদেশি পর্যটন সংস্থা গুলির কাছে। মেলার থিম কান্ট্রি থাইল্যান্ডের স্টলেও ভিড় হয়েছিল দেখবার মত। তাই হাতে যদি একটু সময় থাকে, তাহলে অন্য কোথাও ঘুরতে যাওয়ার আগে একবার ঘুরে আসুন টিটিএফ'র এই সামার প্যাকেজ ট্যুরিজম মেলায়। কারণ শুধুমাত্র সামার নয়, সঙ্গে পুজোর বুকিংটাও সেরে ফেলুন এখান থেকেই।