Written By অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
যখন শালের সবুজ পাতায় বৃষ্টি ঝরে পড়ে, আর রাঙা মাটির আঁকাবাঁকা রাস্তা একা একা হারিয়ে যায় সেই কোনখানে- তখন কথার শেষ, আর বেড়ানোর শুরু।
হ্যাঁ, এই বেড়ানো শালের বনে, ঝরনাপারে, দু’একদিনের ছোট্ট ছুটি যেখানে ফুরিয়ে যায় চোখের পলকে। এ হল সেই চিরকালের চিরচেনা ঝাড়গ্রাম। কিন্তু, এরই চারপাশে লুকিয়ে আছে টুকরো-টুকরো রূপকথার দেশ। এই সফরনামায় তারই খোঁজখবর।
ঝাড়গ্রাম শহর থেকে আধঘণ্টাটাক গাড়ি ছোটালেই বেলপাহাড়ি। ছোট্ট এই গঞ্জ থেকে তিনটে রাস্তা পাড়ি দিয়েছে তিনটুকরো স্বপ্নের দিকে। চলুন, প্রথমে বরং ঘুরে আসি ঘাগরা ঝরনা থেকে। আদ্যিকালের পাথর পেরিয়ে সেখানে ঝরনার ঢেউ বয়ে চলেছে আপনমনে। চারদিকে গাছের ছায়া, আর পাখির ডাক। এখান থেকে কিছুটা এগোলেই তারাফেণী ব্যারেজ। সেও খুব সুন্দর। নীল আকাশ ঝুঁকে পড়েছে নদীর ধূধূ চরায়। খাবারদাবার সঙ্গে থাকলে, একটা দুপুর এখানে কাটিয়ে দেওয়া যায় অনায়াসে।
এবার দু’নম্বর রাস্তা। কোথায় গেছে? গাররাসিনি পাহাড়। এই পাহাড়ের উপরে আছে শিবের মন্দির। ঝরা পাতায় ঢাকা পাথর পেরিয়ে উঠে চলুন সেইদিকে। আর তারপর বসে থাকা, পাথুরে চাতালে, ছুটে চলা হাওয়ায়। ফেরার পথে ইচ্ছে হলে ছুঁয়ে আসতে পারেন কানাসোল নামে আরেক টিলাপাহাড়। স্থানীয় মানুষজন খুবই পবিত্র মনে করেন এই পাহাড়কে।
তিননম্বর রাস্তা গেছে কাকরাঝোড়ের গহন জঙ্গলে। বনের উপর সেখানে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে ভৈরব পাহাড়। ময়ূর ডাকছে ঝরনার কোলে দেবতার থানে। শালগাছে ঘেরা সেই ঝরনা আজ সারাদিনের জন্য শুধু আপনার। তারপর বিকেলের দিকে বন পেরিয়ে ফিরে যাওয়া আবার ঝাড়গ্রামে।
কীভাবে যাবেনঃ ট্রেনে বা গাড়িতে ঝাড়গ্রাম। সেখান থেকে গাড়ি বা অটো ভাড়া করে ঘুরে বেড়ানো ইচ্ছেমতন।
কোথায় থাকবেনঃ ঝাড়গ্রামে থাকার জন্য আছে নানারকমের নানা দামের হোটেল বা লজ।
6th March, 2021 11:13 pm
6th March, 2021 10:38 pm
6th March, 2021 07:54 pm
6th March, 2021 07:25 pm