Written By শাজাহান আলি
কেশপুর বিধানসভা এলাকায় প্রচার শুরুর আগে নিজের গ্রামের বাড়িতে প্রবেশ করলেন ঘাটাল লোকসভার বিদায়ী সাংসদ দেব ওরফে দীপক অধিকারী। গতবার লোকসভা নির্বাচনের আগেও কেশপুর থানার অন্তর্গত মহিষদা গ্রামে নিজের জ্যেঠুর বাড়িতে তথা নিজের পুরনো জন্মভূমিতে এসেছিলেন তিনি। গত ৩দিন আগে গ্রামের বাড়িতে খবর দিয়ে বৃহস্পতিবার তিনি হাজির হন জ্যেঠু শক্তিপদ অধিকারীর বাড়িতে। তবে এবার সেই জ্যেঠু মারা গেছেন অনেক আগেই। গতবারে যিনি ভাইপো দীপক অধিকারীর বিরুদ্ধেই বাম নেতা হিসাবে পরিচিত ছিলেন। তাহলেও জ্যেঠুর পরিবারে থাকা দাদা বৌদি ও অন্যান্যদের সঙ্গে বেশ কিছুটা সময় কাটিয়ে খাওয়া দাওয়া করলেন দেব। প্রায় এক ঘন্টা ধরে বাড়িতে কাটিয়ে কেশপুর বাজারে নতুন বাস স্ট্যান্ডে জনসভায় উপস্থিত হন তিনি। এদিন সভা থেকে ভারতী ঘোষকে পরোক্ষে খানিকটা জবাব দেন। তিনি বলেন, ‘রাজনৈতিক সৌজন্যতা বজায় রেখেই নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব। কারও বিরুদ্ধে তিক্ত মন্তব্য করব না, কারও বিরুদ্ধে কটুক্তি নয়। নির্বাচনে লড়াই করতে এসে শুধুমাত্র দলের কথা বলব। উন্নয়নের কথা বলব। ঘাটাল মাস্টারপ্ল্যান নিয়ে সংসদে বাংলায় প্রশ্ন তুলেছিলাম। তা গ্রাহ্যও হয়েছে। তবে কেন্দ্রের তরফে কোনও টাকা বরাদ্দ না হওয়ায় এই প্রকল্প চালু হয়নি। বোনের বিয়ে বাদ দিয়ে ঘাটালের বন্যায় ছুটে এসেছি। ত্রাণ নিয়ে আসার পর তৎকালীন পুলিশ সুপার ভারতী ঘোষ সেগুলি বিতরণের ব্যবস্থা করেছিলেন।’ এরপর বিজেপি প্রার্থী ভারতী ঘোষের করা অভিযোগ উড়িয়ে তিনি বলেন, ‘ঘাটালে কোনও কাজ হয়েছে কিনা তা এলাকার মানুষ নিজেরাই দেখতে পাচ্ছেন। শুধু শুধু মানুষকে ভুল বুঝিয়ে বিভ্রান্ত করার কোনও প্রয়োজন নেই। এই ঘাটালের এলাকার রাস্তা ঘাট এখন মসৃণ হয়েছে অনেক। আগের পরিস্থিতি এখন আর নেই। তবুও কিভাবে অনুন্নয়নের অভিযোগ তুলেছেন ভারতী দেবী জানিনা।সরকারি পরিসংখ্যান খতিয়ে দেখে ভারতী দেবী কথা বললে ভালো লাগবে। আমি শুধু আমাদের সরকারের কথাই বলব। কারও বিরুদ্ধে কুৎসা করার ইচ্ছে আমার নেই।’
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ঘাটালে নির্বাচনী প্রচারের শুরু থেকেই এলাকার অনুন্নয়নের পাশাপাশি ঘাটালের সাংসদের বিরুদ্ধে সুর চড়াচ্ছেন বিজেপির প্রার্থী প্রাক্তন আইপিএস ভারতী ঘোষ। ৫ বছরে ৫ বার এলাকায় আসেন না সাংসদ দেব, বা সংসদেও তাঁকে দেখা যায় না বলে অভিযোগ তোলেন ভারতী দেবী। এদিন তারই জবাব দিলেন তিনি।