Written By অনির্বাণ বন্দ্যোপাধ্যায়
আবার এসেছে আষাঢ়। কালো মেঘের ছায়ায় ঢাকা বাংলার সবুজ প্রান্তরে, চলুন বেরিয়ে পড়ি আবার। যেখানে সীমাহীন গেরুয়া জল আছড়ে পড়ছে সবুজ ঘাসে, আর রাঙা কাঁকরে। দূরে, জলের বুকে মাথা তুলেছে ছোট ছোট দ্বীপ। আর সবার উপরে ছড়িয়ে আছে আকাশভরা মেঘ- চলুন, খেয়া ভাসাই সেই দিকে।
বলছি, মাইথনের কথা। পশ্চিমবাংলা আর ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ছোট্ট একটুকরো স্বর্গ। এখানে এসে, আশেপাশে যদি নাও যান, মাইথন ড্যামের কিনারে ঘুরে বেড়িয়েই, ভরে উঠতে পারে আপনার ছুটি। ১৯৫৭ সালে এই ড্যাম উদ্বোধন করেছিলেন পণ্ডিত জহরলাল নেহেরু। এই ড্যাম-ই মাইথন বেড়ানোর মূল আকর্ষণ।
মাইথন পৌঁছনোর কয়েক কিলোমিটার আগে পড়ে মা কল্যানেশ্বরীর মন্দির। বহু অলৌকিক গল্প ছড়িয়ে আছে এই মন্দিরকে ঘিরে। মায়ের থান বা মাই কি থান, আর সেখান থেকেই মাইথন।
মাইথনে পা রেখেই দেখতে পাবেন, ড্যামের পারে ঢেউয়ে দুলছে রঙিন সব নৌকো। একটা নৌকো ভাড়া করে চলে আসা যায় সবুজ দ্বীপে। তারপর, কিছু সময়ের জন্য আপনি রবিনসন ক্রুশো। এছাড়াও এখানে আছে ডিয়ার পার্ক, মিলেনিয়াম পার্ক, কালীপাহাড়ির কালী মন্দির আর পাহাড়িবাবার মন্দির। পারমিশন থাকলে এর সঙ্গে জুড়ে যাবে হাইডেল পাওয়ার প্ল্যান্ট আর থার্মাল পাওয়ার প্ল্যান্ট দর্শন। হাতে যদি সময় থাকে, গাড়ি নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন পঞ্চকোট। তা নাহলে ড্যাম রোডে একটু ঘুরে, পাথর পেরিয়ে উঠে যান টিলাপাহাড়ে- ওই দূরে দেখা যাচ্ছে ড্যামের জল। নেমে এসে, ফুচকা বা গরম জিলিপির পাট চুকিয়ে, ভেসে পড়ুন সেখানে।
কীভাবে যাবেনঃ মাইথনের সব থেকে কাছের স্টেশন হল কুমারধুবি, সেখান থেকে অটো বা গাড়ি ভাড়া পাওয়া যায়। এছাড়া আসানসোল থেকে মাইথন মাত্র তিরিশ কিলোমিটার। সেখান থেকেও গাড়ি পাবেন।
কোথায় থাকবেনঃ DVC-র মজুমদারনিবাস, না হলে হোটেল বা লজ।
6th March, 2021 11:13 pm
6th March, 2021 10:38 pm
6th March, 2021 07:54 pm
6th March, 2021 07:25 pm