Written By অনিরুদ্ধ সরকার
বুধবার রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের ৪৪তম সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ডি.লিট প্রদান করা হল সাহিত্যিক সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, শাস্ত্রীয় নৃত্যশিল্পী সোনাল মানসিং এবং শাস্ত্রীয় তবলাশিল্পী পণ্ডিত স্বপন চৌধুরীকে। এছাড়া রাজ্য আকাদেমি সম্মান পেলেন নৃত্যশিল্পী কলাবতী দেবী, সেতারশিল্পী মণিলালা নাগ, চিত্রকর ওয়াসিম কাপুর। আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি পুরস্কার পেলেন আঞ্চলিক লোক-সংস্কৃতি গবেষক শুভেন্দু মাইতি। বিশ্ববিদ্যালয়ের জোড়াসাঁকো ক্যাম্পাসে অনুষ্ঠিত এই সমাবর্তন উৎসবে উপস্থিত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল কেশরীনাথ ত্রিপাঠী। এদিনের অনুষ্ঠানে ৯৯ জনকে প্রদান করা হয় পি-এইচ.ডি. উপাধি, ৬২ জন পান এমফিল উপাধি, ৩৮জন পেলেন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডেল। এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সব্যসাচী বসু রায়চৌধুরী।সকাল ১০টা নাগাদ সভাস্থলে সারস্বত শোভাযাত্রা প্রবেশ করে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা বেদগান এবং সঙ্গীত পরিবেশন করেন। সমাবর্তন উৎসবের সূচনা করেন রাজ্যপাল তথা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য কেশরীনাথ ত্রিপাঠী।আচার্যের পর উপাচার্য প্রতিবেদন পেশ করেন। রাজ্যপাল বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সাম্মানিক ডি.লিট, আকাদেমি সম্মান, আচার্য দীনেশচন্দ্র সেন স্মৃতি পুরস্কার এবং পি-এইচ.ডি. উপাধি প্রদান করেন।বেলা ১২টা নাগাদ জাতীয় সঙ্গীতের পর আচার্য সমাবর্তন অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন।১৯৬৩ সালে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ডিলিট প্রদান করে আচার্য নন্দলাল বসু এবং ওস্তাদ আলাউদ্দীন খাঁকে। তারপর একেএকে যামিনী রায়, তারাশঙ্কর বন্দ্যোপাধ্যায়, কবিশেখর কালিদাস রায়, হেমন্ত মুখোপাধ্যায়, সুকুমার সেন, সত্যজিৎ রায়, তপন সিনহার মত বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরা পেয়েছেন রবীন্দ্রভারতীর এই সম্মানিক ডি.লিট। রাজ্যপাল এদিন জানান, তিনি এই অনুষ্ঠানে আসতে পেরে গর্বিত এবং আনন্দিত।