মুম্বই: যে কোনও কারণেই হোক কিছু সংখ্যক মানুষ এখনও পর্যন্ত করোনা ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি নেননি বা নিয়ে উঠতে পারেননি (Third Wave of Corona India)। কেন্দ্রীয় রিপোর্ট অনুযায়ী, ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজ নেননি এমন মানুষের সংখ্যা কমপক্ষে ১০ শতাংশ (3rd Wave Scare)। বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল পুরসভার (BMC)-র এক পরিসংখ্যানে দেখা গিয়েছে, ভ্যাকসিনের একটিও ডোজ যাঁরা নেননি, তাঁদের ক্ষেত্রেই ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি ( third wave india updates)।
বৃহন্মুম্বই পুরসভার পদস্থ এক আধিকারিক জানান, বাণিজ্যনগরীর বিভিন্ন হাসপাতালে যাঁদের অক্সিজেন সাপোর্টে রাখতে হয়েছে, দেখা গিয়েছে, তাঁদের ৯৬ শতাংশই ভ্যাকসিনের প্রথম ডোজটি নেননি। মুম্বই শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের ডাক্তাররাও একই তথ্য দিচ্ছেন। চিকিত্সকেরা আরও জানাচ্ছেন, ভ্যাকসিন নেননি এমন ৫০-ঊর্ধ্বদেরই অক্সিজেন সাপোর্ট দিতে হচ্ছে।
আরও পড়ুন : Covid-19 Third Wave: চোখ রাঙাচ্ছে তৃতীয় ঢেউ, ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা আক্রান্ত ১ লক্ষ ৪১ হাজার
৬ জানুয়ারি পর্যন্ত শহরের বিভিন্ন হাসপাতালের তথ্য বিশ্লেষণ করে বৃহন্মুম্বই কর্পোরেশনের মিউনিসিপ্যাল কমিশনার ইকবাল চাহল শনিবার জানান, মুম্বইয়ের বিভিন্ন কোভিড হাসপাতালে ১৯০০ রোগীকে অক্সিজেন বেডে রাখতে হয়েছে। দেখা গিয়েছে, এঁদের ৯৬ শতাংশ ভ্যাকসিন নেননি। মাত্র ৪ শতাংশ ক্ষেত্রে রোগীদের ভ্যাকসিন নেওয়া ছিল।
বাণিজ্যনগরীর বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতালের কো-অর্ডিনেটর, বোম্বে হাসপাতালের চিকিত্সক গৌতম ভানশলি এদিন জানান, শহরের করোনা হাসপাতালগুলিতে ভ্যাকসিন নিয়েছেন বা নেননি এমন দু’ধরনের লোকজনই ভর্তি রয়েছেন। কিন্তু অক্সিজেন বেডের ক্ষেত্রে দেখা যাচ্ছে, অধিকাংশই ভ্যাকসিন নেননি। বয়স ৪০-৫০ ঊর্ধ্ব। ভ্যাকসিনেশন কতটা জরুরি এই পরিসংখ্যানেই তা স্পষ্ট।
আরও পড়ুন : Viral Video: মঞ্চে উঠে বিজেপি বিধায়ককে সপাটে চড় কৃষক নেতার
মুম্বইয়ের সংক্রমণ বিশেষজ্ঞ ডাক্তার ওম শ্রীবাস্তব জানান, এই মুহূর্তে বাণিজ্যনগরীতে ১ লক্ষ কোভিড অ্যাক্টিভ রোগী রয়েছেন। এর মধ্যে ১০ টন অক্সিজেন খরচ হয়েছে। রাজ্যের ভাঁড়ারে মজুত রয়েছে ২০০ টন অক্সিজেন। দৈনিক ২০০ টন অক্সিজেন উত্পাদনের ক্ষমতা রয়েছে। ফলে, করোনা আক্রান্তদের চিকিত্সায় অক্সিজেনের ঘাটতি হবে না বলেই তিনি আশ্বস্ত করেছেন।